এ বছর আর কোর্টে ফেরা হবে না নোভাক জোকোভিচের। কনুইয়ের চোট কাটিয়ে যখন নতুন বছরে কোর্টে ফিরবেন, আগের সেই জোকোভিচকে কি দেখবে টেনিস-বিশ্ব? এমন একটা দুশ্চিন্তা কি একটিবারও উঁকি দেয় না সার্বিয়ার তারকার মনে! সর্বশেষ প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে এরই মধ্যে অবনমন হয়েছে। চার থেকে নেমে গেছেন পাঁচে। এ বছর আর কোর্টে নামতে না পারলে পতনের ধারা চলতেই থাকবে। হয়তো নেমে যাবেন ছয়, সাত, আট কিংবা দশের বাইরে…!উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তার অনেক কিছুই আছে। কিন্তু এসবকে দূরে সরিয়ে সাবেক এক নম্বরকে ‘জীবনটা ভালোভাবে উপভোগের’ করতে বলছেন এমন একজন, যিনি নিজেও চোটের কারণে বারবার এমন দুঃসহ সময় পার করেছেন। জোকোভিচকে সেই হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোর পরামর্শ—বাড়িতে থাকো, বাচ্চাদের সঙ্গে খেলো।
গত উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে কনুইয়ের পুরোনো চোটের কারণে ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন জোকোভিচ। আর গত সপ্তাহে জানিয়েই দিয়েছেন, এ বছর আর কোনো টুর্নামেন্ট খেলবেন না। কোর্টের বাইরে লম্বা এই সময়টা কতটা যন্ত্রণার হতে পারে, সেটি আর্জেন্টাইন দেল পোত্রোর চেয়ে ভালো আর কে জানে! নাছোড়বান্দা কবজির চোট অনেকবারই ছিটকে ফেলেছে তাঁকে। ২০১০ সালের প্রায় পুরোটাই কোর্টের বাইরে রেখেছে ডান কবজির সমস্যা। ২০১৪ ও ২০১৫ মৌসুমটাতে আবার বাধা হয়ে দাঁড়াল বাঁ কবজি। ২০০৯ ইউএস ওপেনজয়ীর ক্যারিয়ারটা সেভাবে পাখাই মেলতে পারল না এ কারণে।
চোটের কারণে লম্বা সময় বাইরে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে দেল পোত্রো বলছেন, ‘লম্বা একটা সময়ের জন্য খেলার বাইরে থাকার পর আবার ফেরাটা সহজ নয়। লম্বা চোটের ধকল কাটিয়ে অনেকে খেলোয়াড়ই ভালো খেলতে পারে, কিন্তু ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তা পারা যায় না।’
কিন্তু এখনই এসব নিয়ে না ভেবে জোকোভিচকে দেল পোত্রো বলছেন, ‘আমার পরামর্শ, বাড়িতে ভালো সময় কাটাও। তাহলে ফিরে আসার সময় তুমি মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকতে পারবে।’
স্তেফান নামের দুই বছরের সন্তান আছে জোকোভিচের। স্ত্রী ইয়েলেনা রিস্টিচ এ বছরের শেষের দিকে দ্বিতীয় সন্তানের মা হবেন। টেনিস থেকে দূরের এই সময়টা তো জোকোভিচের উপভোগই করার কথা।
চাইলেও যে কোনো বিকল্প নেই ১২টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিকের! এএফপি।