এখন পর্যন্ত টানা তিন ম্যাচে জিতে সিলেটকে আবারও আনন্দের উপলক্ষ এনে দিলেন নাসিররা।বিপিএলে ২০০ রান কখনো তাড়া করতে পারেনি কোনো দল।বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুমিনুল হক-লুক রাইট ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন রাজশাহীকে। ষষ্ঠ ওভারে লিয়াম প্লাঙ্কেটের স্লোয়ারটা পড়তে না পেরে মিড অনে মুমিনুল (২৪) নাসির হোসেনের ক্যাচ হলে ভাঙে ৫০ রানের ওপেনিং জুটি। দুই বলে পরে রনি তালুকদারকেও তুলে নেন প্লাঙ্কেট। প্লাঙ্কেটের পর ১০ম ওভারে মুশফিকুর রহিম ও সামিত প্যাটলকে আউট করে জোড়া ধাক্কা দেন আবুল হাসানও। যেটি আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি রাজশাহী।
যদিও পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৫৪ রান যোগ করে লড়াইটা জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাইট-জেমস ফ্রাঙ্কলিন। ৫৬ রান করা রাইটকে ফিরিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রুটা এনে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বী। খানিক পরে ফ্রাঙ্কলিন (৩৫) ফিরেছেন ড্যারেন স্যামির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়ে। বিপিএলের প্রথম ম্যাচের মতো মঙ্গলবারও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আবুল হাসান, ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অসাধারণ বোলিং করেছেন প্লাঙ্কেটও, ২৯ রান দিয়ে পেয়েছেন সমান ৩ উইকেট।
সিলেটের এখন পর্যন্ত সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান যে তাদের ওপেনিং জুটির, সেটিও বোঝা গেল। উপুল থারাঙ্গা আর আন্দ্রে ফ্লেচারের ওপেনিং জুটি প্রতিটি ম্যাচেই সিলেটকে এনে দিচ্ছে শুভ সূচনা। রাজশাহীর বিপক্ষে ওপেনিং জুটির গড়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ৬ উইকেটে ২০৫ রানের বড় স্কোর গড়েছে স্বাগতিকেরা। ওপেনিং জুটির বড় অবদান তো আছেই। ধানুষ্কা গুনাতিলকা আর রস হুইটলিকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। গুনাতিলকা ৩টি ছয় আর ২টি চারে ২২ বলে করেছেন ৪২। আর হুইটলির ২৫ রানে এসেছে মাত্র ১২ বলে (১টি চার ও ৩টি ছয়)।
জয়ের হ্যাটট্রিক হয়ে গেল নাসিরদের। বুধবার খুলনা টাইটানসদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটিও নিশ্চয়ই জয় দিয়ে শেষ করতে চাইবেন তাঁরা।