বৃষ্টির কারনে বাংলাদেশ দল আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মূল মাঠেই আসতে পারেনি। অনুশীলন সেরেছে ইনডোরে। বৃষ্টি থামার সংকেত পেয়ে অধিনায়ক উইকেট দেখতে এলেন কোচের সঙ্গে। দ্বিতীয় টেস্টের জন্য জহুর আহমেদের তিন ও পাঁচ নম্বর উইকেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুটিই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন দুজনে। প্যাড পরা মুশফিক ব্যাটিং পজিশনে দাঁড়িয়ে সামনে-পেছনে পা নিয়ে শ্যাডো করার ভঙ্গিও করলেন কিছুক্ষণ। হাতে ধুলো মাখিয়ে পরখ করলেন উইকেট। চট্টগ্রামের উইকেটও ঢাকার মতোই হবে কি না, সেটা কাল থেকেই বোঝা যাবে।
চট্টগ্রাম টেস্টের ফল যা-ই হোক, অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হারের আশঙ্কা নেই বাংলাদেশের। তবে নিরাপদ অবস্থানে থেকে এই টেস্টে ড্র নয়, জয় চান মুশফিক। ধবলধোলাইয়ের কাজটা যে সহজ হবে না, সেটা জানেন অধিনায়ক, ‘একটা বাড়তি সুবিধা যে আমরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছি। তবে অস্ট্রেলিয়াও শক্তিশালী দল। যে যেকোনো পরিস্থিতিতে, যেকোনো কন্ডিশনে ঘুরে দাঁড়াতে জানে, সেটি মনে করিয়ে দিচ্ছেন মুশফিক, ‘তারা হয়তো চাপে আছে। চাপে থাকলেই যে তারা হেরে যাবে, তা নয়। সর্বশেষ দুইটা সিরিজ যদি বলেন, আমরা পিছিয়ে থেকে সমতায় ফিরেছি। আমরা চাইব এটার ধারাবাহিকতা যেন ধরে রাখতে পারি।’এবার আমাদের মনোযোগ ২-০ ফলের দিকে। ১-০ এগিয়ে থাকাটা সুবিধা। তবে আমাদের প্রথম থেকেই শুরু করতে হবে।’
ঢাকার উইকেট ছিল স্পিন সহায়ক। বাংলাদেশ স্পিন আক্রমণের কাছে খাবি খেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। অজিদের ২০ উইকেটের ১৯টিই নিয়েছেন সাকিব-মিরাজ-তাইজুলরা। ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশ দলের দুই পেসার বোলিং করেছেন মোট ১৫ ওভার। উইকেট পাননি একটিও। উইকেট ও প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে চট্টগ্রাম টেস্টে এক পেসার কমিয়ে ব্যাটসম্যান বাড়ানো হবে কি না, প্রসঙ্গটা উঠল মুশফিকের সংবাদ সম্মেলনে। অধিনায়ক পরিবর্তনের ইঙ্গিতই দিলেন, ‘পরিকল্পনা তো অবশ্যই আছে। আমাদের যে ১৪জন আছে, সবারই সামর্থ্য আছে । আমাদের সবকিছুই কাভার করা আছে। কাল শেষ পর্যন্ত দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের দলের ১৪ জনই সেরা একাদশে খেলার জন্য উপযুক্ত। দলের জন্য স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা এটা।’