কুমার সাঙ্গাকারা আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে এভিন লুইসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ডেলপোর্ট। ঢাকার স্কোর তখন ৪ ওভারে ৩৮/১। এখান থেকে ১৩তম ওভারের শেষ বলে লুইস আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ বলে ১১৬ রান যোগ করেন ডেলপোর্ট। এর মধ্যে তাঁর একার অবদান ৬৪ রান। ৫ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজিয়েছেন এ প্রোটিয়া।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক না ঘটলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ক্যামেরন ডেলপোর্ট বেশ অভিজ্ঞ। বিপিএলে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে তাঁর ব্যাটে দেখা গেল সেই অভিজ্ঞতার ছাপ। ৩১ বলে ৬৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ঢাকা ডায়নামাইটসের জয়ের ভিত গড়েছেন ডেলপোর্ট।
মূলত, লুইস-ডেলপোর্টের ব্যাটে ভর করেই জয়ের ভিত পেয়েছে ঢাকা। এর মধ্যে ডেলপোর্টের ইনিংসটি ছিল ভীষণ প্রভাব জাগানিয়া। গোটা ম্যাচে তাঁর ছক্কাসংখ্যাই সর্বোচ্চ।ডেলপোর্ট তাঁর পাঁচ ছক্কার মধ্যে মোশাররফ হোসেনের এক ওভারেই মেরেছেন দুটি ছক্কা। মোশাররফের সেই ওভারে ১৮ রান নেন তিনি। এ ছাড়া শফিউল আর ব্রাফেটকেও আছড়ে ফেলেছেন সীমানার বাইরে। শেষ পর্যন্ত আবু জায়েদের বলে লেগ বিফোরের শিকার হলেও ততক্ষণে দেড় শ রান টপকে যায় ঢাকার ইনিংস।