আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকতে পারে কিনা এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কথা-বার্তা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
সোমবার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের সেনা মোতায়েন বিষয়ে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে সিইসি মঙ্গলবার বলেন, ‘বক্তব্যটি তাঁর ব্যক্তিগত। এ ব্যাপারে কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সেনাবাহিনী নির্বাচনে থাকতে পারে কি না এ ব্যাপারে কথা বার্তা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতি বিবেচনায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্বাচনের এখনো এক বছর বাকি। কমিশন এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
সেনাবাহিনীকে আইন-শৃংখলাবাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করতে হলে- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), সংবিধান ও সিআরপিসি সংশোধন করতে হবে। সেনাবাহিনী হচ্ছে দেশ রক্ষা বাহিনী, এরা আইন-শৃংখলা বাহিনী না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতি বিবেচনায় কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েন হবে, না অন্য কোনো পদ্ধতিতে হবে।
তিনি বলেন, এর আগে দেশে যত সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, প্রত্যেকটিতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কোনো নির্বাচনেই বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে তাদের মোতায়েন করা হয়নি।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আগামী নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে কি না, এ বিষয়েও এখনো কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে একটি ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। জাতীয় নির্বাচনে কী হবে, এটা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।