ঈদ যাত্রার শেষ মুহূর্তে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পাটুরিয়া ঘাটে তিন শতাধিক ছোট (প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস) ও বড় গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের এই সংখ্যাও বাড়ছে। তবে যাত্রীবাহী বাসের তুলনায় অপেক্ষামান প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের সংখ্যাই বেশি।
আমাদের প্রতিনিধি শূত্রে জানা গেছে, ঈদের শেষ মুহূর্তে অনেকেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নিজস্ব প্রাইভেটকারযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। তাই ঘাটে ছোট যানবাহনের এমন বাড়তি চাপ দেখা যাচ্ছে। আর এর সঙ্গে রয়েছে যাত্রীবাহী পরিবহনও।
অন্যদিকে এখনও যারা ঢাকা ত্যাগ করেনি তারা আজ শেষ কর্মদিবস শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ফলে রাতে যানবাহনের আরও চাপ বড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়ার জন্য নদীর পানিতে তীব্র স্রোতকে দায়ী করেছেন বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল। তিনি বলেন, ছোট বড় ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। নদীতে তীব্র স্রোত থাকার কারণে পারাপারে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে। সে জন্য ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে। ফলে ঘাটে তিব্র যানযট শুরু হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, সকাল থেকে ঘাটে যানবাহনের বাড়তি চাপ রয়েছে। যানজট এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে ছোট গাড়িগুলোকে টেপড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে নালী সড়কে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। ৫ নম্বর ফেরি ঘাট দিয়ে শুধুমাত্র ছোট গাড়িই পারপার করা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।