অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপে নতি স্বীকার করেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে মিয়ানমার সরকার।
গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা থাউং তুন।
একই সময় দেশটির রাজধানী নেপিদোতে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন কমিটির সঙ্গে বৈঠকে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজী হয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
অন্যদিকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সাতটি সদস্য দেশ জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা বলেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নেই মিলতে পারে সমাধান। আবার দুই পক্ষেরই লাভ আছে এমন দেয়া-নেয়ার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান হতে পারে। তবে এ প্রস্তাব যেন কেবল চাপ সামলানোর কৌশল না হয় সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে।
এছাড়া সমস্যা জিইয়ে রাখলে তৃতীয় কোনো পক্ষ সুযোগ নিতে পারে বা হুমকিতে পড়তে পারে জাতীয় নিরাপত্তা। ফলে ভাঙন ধরতে পারে দুই দেশের সম্পর্কেও। তাই দ্রুত বিরোধের দেয়াল ভাঙতে আলোচনা শুরুর পরামর্শও দেন তিনি।