বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি টাকায় এই ঋণের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৮শ’ কোটি টাকা। পোশাক খাতের বাইরে চারটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাতের অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে এ ঋণ সহায়তা ব্যবহৃত হবে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫ বছর মেয়াদী এই ঋণ চুক্তি হয়।
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিও ফান বলেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সাথে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাবে।
এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে স্বাস্থ্য খাত ও সরকারী কেনাকাটায় দুটি আলাদা প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৫৭০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার অনুমোদন দেয় বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ৫৯৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। চলতি বছরের ২৯ জুলাই ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় কোন প্রকল্প নিলে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার বা ৩২শ’ কোটি টাকা দিতে প্রস্তুত থাকার কথা জানান সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। এ সহায়তা ঋণ নাকি অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে জানতে চাইলে তখন তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করে শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ প্রস্তাবনার ওপর।