আজ রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এ প্রতিক্রিয়া জানান ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ দল সবসময় ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় রয়েছে। বিএনপি যদি ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসে তাহলে আমরা তাদের স্বাগত জানাব।
খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, সরকার বিএনপির ওপর জুলুম করেছে। এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জুলুম আওয়ামী লীগ করেনি, জুলুম করেছে বিএনপি। এটা দেশের জনগণ জানে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার হাতে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর রক্তের দাগ। জুলুম তিনি করেছেন, অথচ তিনি আজও জাতির কাছে ক্ষমা চাননি।
আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল শেখ হাসিনার প্রতি অন্ধ আক্রোশের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে খালেদা জিয়ার নির্বাচনের দাবির প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবে নির্বাচন হবে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে—খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের কেউ প্রধান বিচারপতির মতো একজনকে পদত্যাগ করাবে, এটা মনে করা হাস্যকর।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি তিনি (খালেদা জিয়া) চান না, তিনি চান ২০০১ সালের মতো মেকানিজমের নির্বাচন। সেই জন্য তিনি ইভিএম চান না। আমরা ইভিএম চাই। তবে বিএনপির এমন দাবি আমি অযৌক্তিক হিসেবে দেখি না, রাজনৈতিক দল হিসাবে এটা তাঁর অধিকার আছে। তবে এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, তারাই ঠিক করবে। আওয়ামী লীগ সেনা মোতায়েন চায় না, কথাটা ঠিক নয়।তবে সেটা আইন অনুযায়ী।
খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করেছেন, পুড়িয়ে মানুষ মেরেছেন। তাঁর কৃতকর্মের জন্য তাঁকেই জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন।