অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি গেজেট আকারে প্রকাশে সরকারকে আরো অন্তত দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আদেশ দেন।মামলার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তরের পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ বিষয়ে গেলো ২৩ জুলাই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তারপর সেটা আবারো পরবর্তী শুনানির জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
৩০ জুলাই শুনানিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার খসড়া গ্রহণ করেনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওইদিন খসড়ার বিভিন্ন ধারার অসঙ্গতি তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, আমার সঙ্গে আলোচনা করেই আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, সব অসঙ্গতি দূর হবে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের প্রণীত এই খসড়ায় সেটার কোন প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। কেন আপনারা পুরোপুরি ইউটার্ন নিয়ে এ ধরনের একটা খসড়া প্রণয়ন করতে গেলেন।একই সঙ্গে খসড়া নিয়ে আইনমন্ত্রী, আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ড্রাফটিং উইংয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে, প্রধান বিচারপতি বলেছেন ।২৩ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের এ বেঞ্চে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে মামলার শুনানিতে সর্বশেষ এক সপ্তাহ সময় দেন আদালত। ২০ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, চলতি সপ্তাহ নাগাদ বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি তৈরির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া করা হবে।তারপর ২৭ জুলাই প্রধান বিচারপতির নিজ কামরায় তার সঙ্গে আবারও দেখা করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। ওই দিন তিনি জানান,নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি সংক্রান্ত শৃঙ্খলাবিধির খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে জমা দিয়েছি। প্রধান বিচারপতি সেটা দেখবেন, তারপর নিয়ম অনুযায়ী খসড়াটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। প্রধান বিচারপতির যদি কোনো বিষয়ে সুপারিশ থাকে তাহলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। তিনি এ বিষয়টি দেখবেন এবং সেটার গেজেট চূড়ান্ত আকারে প্রকাশ করা হবে।নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তলবও করেছিলেন আপিল বিভাগ। ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত চারটি বিধিমালা সাতদিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেন। তবে এ সংক্রান্ত মামলাটি এখনো পযর্ন্ত আপিল বিভাগে বিচারাধীন।