পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় আসামি রফিকুল ইসলাম শাকিল ও রাজন তালকুদারকে নিম্ন আদালতে দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।
এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম ও কাইয়ুম মিয়া টিপুকে খালাস দিয়েছে আদালত। আর নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মাহফুজুর রহমান নাহিদ, ইমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, মীর মো. নূরে আলম লিমনের সাজা কমিয়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১৩ জনের মধ্যে গোলাম মোস্তফা ও এইচ এম কিবরিয়াকে খালাস দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় ঘোষণা করেন। নিম্ন আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বাকি ১১ জন আপিল না করায় তাদের সাজা বাড়া বা কমার বিষয়ে আদালত কোন মন্তব্য করেননি। এই ১১ জন হলেন-ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন। গত ১৭ই জুলাই এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে রায় ৬ই আগষ্ট (গতকাল) ঘোষণা করা হবে মর্মে তা অপেক্ষমান রাখে হাই কোর্ট। রায়ে বিশ্বজিত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সঠিকভাবে তদন্ত না করায় এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সঠিকভাবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্ব স্ব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ২০১২ সালে সংঘটিত আলোচিত এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিম্ন আদালতের রায়ে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে ডেথ রেফারেন্স নথি হাইকোর্টে আসে। একই সঙ্গে আসামিরাও সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। গত ১৬ই মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। ২৩শে মে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান