ইতিহাস গড়ে ফেলেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতেছে দেশটি। বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বের কাছে ৭১ বছরের অনন্য এক রেকর্ড খুইয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শুধু মাঠের পারফরম্যান্সই নয়, মাঠের গৌরবেও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিচ্ছে ভারত। মেলবোর্ন স্টেডিয়ামকে টপকে যাচ্ছে ভারতের একটি নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা এমসিজি সম্পর্কে বলতে গেলে অনায়াসে একটি বিশেষণ ব্যবহার করা যেত; বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার এ গৌরব কেড়ে নিচ্ছে ভারত। গুজরাটের আহমেদাবাদের মোতেরায় বানানো হচ্ছে সরদার প্যাটেল গুজরাট স্টেডিয়াম। নির্মাণকাজ শেষ হলেই এমসিজিকে পেছনে ফেলে দেবে এ স্টেডিয়াম। কারণ, সরদার প্যাটেল স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ দশ হাজার। মেলবোর্ন স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা এক লাখ ২৪জন। এর মাঝে ৯৫ হাজার দর্শক আসনে বসতে পারেন। বাকিদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
ভারতের এই মহাপরিকল্পনার দায়িত্ব পেয়েছে এমএস পপুলাস। মেলবোর্ন স্টেডিয়ামও এরা বানিয়েছিল। ৬৩ একর জমির ওপর বানানো এ স্টেডিয়ামে থাকবে ৭৬টি করপোরেট বক্স। এ স্টেডিয়ামে কোনো স্তম্ভ থাকবে না। ফলে খেলা দেখতে আসা কোনো দর্শকের কোনো অসুবিধা হবে না।
তবে মেলবোর্নের রাজত্ব অন্তত আরও কিছুদিন দেখা যাবে। গুজরাটের এই স্টেডিয়াম যে খেলা আয়োজনের জন্য প্রস্তুত হবে দুই বছর পর। তারপরই হয়তো এক ম্যাচে লক্ষাধিক দর্শক দেখার সুযোগ হবে ক্রিকেটের। কারণ মেলবোর্ন স্টেডিয়ামের পূর্ণ ধারণ ক্ষমতা এখনো ব্যবহৃত হয়নি। ২০১৫ বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে এসেছিলেন ৯৩ হাজার ১৩ জন দর্শক, আর ধারণ ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়েছিল ২০১৫ সালের জুলাই মাসে। রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ দেখতে হাজি হয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৩৮২ জন। এ স্টেডিয়ামের পার্কিংয়ে ৩ হাজার গাড়ি ও ১০ হাজার মোটরসাইকেল রাখার ব্যবস্থা থাকবে।