Home বাংলাদেশ ভিক্ষুক দম্পতির দৃষ্টান্ত, বশতভিটা মসজিদে দান!

ভিক্ষুক দম্পতির দৃষ্টান্ত, বশতভিটা মসজিদে দান!

2370
0
SHARE
ভিক্ষুক দম্পতির দৃষ্টান্ত

শতশত কোটিপতি, হাজার হাজার একর জমির মালিক অসংখ্য রয়েছে লালমনিরহাট জেলায়। এদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন, যারা দান খয়রাত তো দুরের কথা, অনেক অসহায় দুঃস্থ মানুষের শেসে সম্বল টুকু জবরদখল করে তাদের ভিটেমাটি ছাড়া করেছেন। আর সেখানে নিজের শেষ সম্বল বশত ভিটার জমি টুকু মসজিদে দান করে সমাজে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এক ভিক্ষুক দম্পতি বৃদ্ধ খইমুদ্দিন (৮০) ও হামিজোন বেগম (৬৫)।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোপাল রায় গ্রামে ঐ ভিক্ষুক দম্পতির বাড়ি।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এক নির্জন কুঁড়ে ঘরে তাদের বসবাস। প্রতিদিনের ভিক্ষার চালেই জ্বলে তাদের চুলা। একদিন ভিক্ষা না করলে তাদের মুখে খাবার জুটেনা। অনেক সময় অনাহারেই দিন কাটে তাদের। তারপরও জীবন বাঁচাতে ভিক্ষা করতে হয় ওই দম্পতিকে।

জানা গেছে, ঐ ভিক্ষুক দম্পতির সন্তানাদি না থাকায় মৃত্যুর আগে শেষ সম্বল ভিটে-বাড়ি ৪ শতক জমি গত ৩ বছর আগে ওই গ্রামে নিত্য ডিঘি জামে মসজিদের নামে দানপত্র দলিল করে দেন। তাদের এমন দান সমাজে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বৃদ্ধ খইমুদ্দিন প্যারালাইসিস রোগী তারপরও অসুস্থ্য স্বামীকে নিয়ে পেটের দায়ে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতে বের হন স্ত্রী হামিজোন বেগম। তাদের এমন দূরাবস্থায় ভাগ্যে জুটেনি কোন বয়স্ক ভাতার কার্ড।

হামিজোন বেগম বলেন, ভিটেবাড়ি টুকু মসজিদের নামে দান করে আমরা দুই জনেই খুশি। আমাদের কোন সন্তান নেই তাই মসজিদে জমি দান করেছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমাদের বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়নি।

প্রতিবেশি আছমা বেগম (৪০) বলেন, তারা অসহায় গরিব মানুষ। যেন দেখার কেউ নাই। সারাদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে যেটুকু চাউল পান তাই রান্না করে খান।

ঐ এলাকার তৈয়ব আলী (৪০) জানান, ঐ বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যুর পর তাদের দাফন কাফনের ব্যবস্থা জামাত বাসী করবেন। তাদের এমন দান সমাজের বিত্তশালীদের চোখ খুলে দিয়েছেন।

 

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.