সমুদ্র সীমানায় নিরাপত্তা, সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চারটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ শেষ হয়েছে। খুলনার খালিশপুরস্থ তিতুমীর নেভাল জেটিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে ৮ নভেম্বর বুধবার নবনির্মিত জাহাজগুলো উদ্বোধন করবেন।
নিশান, দুর্গম, হালদা ও পশুর নামে জাহাজগুলো নির্মাণে ৯৪২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। খুলনা শিপইয়ার্ড আন্তর্জাতিকমানের এ যুদ্ধ জাহাজগুলো নির্মাণ করেছে।
নৌবাহিনীর সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। নির্মিত যুদ্ধ জাহাজগুলো পরীক্ষামূলকভাবে ভৈরব ও রূপসা নদীতে চলাচল করেছে। সম্প্রতি যুদ্ধজাহাজ বিএন দুর্গম বঙ্গোপসাগরে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়।
খুলনা নৌবাহিনীর সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বুধবার বেলা ১১টায় খুলনার খালিশপুরস্থ তিতুমীর নেভাল জেটিতে নবনির্মিত দুর্গম ও নিশান নামের যুদ্ধজাহাজ এবং টাগবোট কমিশনিং করবেন। বেলা ১২টায় অনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
বঙ্গভবনের একজন মুখপাত্র জানান, রাষ্ট্রপতি নিশান, দুর্গম, হালদা ও পশুর জাহাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে হস্তান্তর করতে আজ খুলনা সফর করবেন।
খুলনার খালিশপুরের তিতুমীর নৌঘাঁটিতে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন জানান। খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান, ৯৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই জাহাজগুলোর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর আগে বঙ্গোপসাগর ও রূপসা নদীতে এগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়।
শিপইয়ার্ডের জেনারেল ম্যানেজার (প্রোডাকশন) ক্যাপ্টেন এম নূরুল ইসলাম শরীফ বলেন, ২৫ নটিক্যাল মাইল ক্রুজ গতিসম্পন্ন এই জাহাজ ৪টির মধ্যে নিশান ও দুর্গম হচ্ছে প্যাট্রল বোট এবং হালদা ও পশুর সাবমেরিন ট্যাগ বোট। তিনি বলেন, সব জাহাজই বিশ্বমানের এবং আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সজ্জিত। এগুলো সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা ও সমুদ্রসম্পদ আহরণে ব্যবহৃত হবে।