নাজাহাত আর মনিরার কাখে পানির কলস। প্রায় তিন কিলোমিটার দূর থেকে তারা কলস ভরে পানি আনছিল উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ বেয়ে। পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাঁড়ির পাশে কলস নামিয়ে একটু জিরিয়ে নিচ্ছে।
তাদের দুজনেরই বয়স আট থেকে দশ বছর। পুটিবুনিয়া পাহাড়ের ঢালে নীল রঙের প্লাস্টিক সিট দিয়ে ছাউনি করে তাদের ঘরে। গত ১২ দিন থেকে এখানেই আছে তারা। মাথা গোঁজার ঠাঁই হলেও খাওয়ার পানির ব্যবস্থা হয়নি। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের এই নতুন রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো নলকূপ বসানো এখনো হয়নি। তাই প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে পাশের গ্রামে তাদের যেতে হচ্ছে নলকূপ থেকে বিশুদ্ধ পানি আনার জন্য।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেল, নতুন রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির তীব্র সংকটগুলো । সাংসারিক কাজকর্ম, রান্নাবান্না করা বা গোসলের পানিরও সংকট । লাখ লাখ মানুষ, কিন্তু তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা হয়নি। দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে শিশুরা ডায়রিয়া ও পেটের পীড়ায় ভুগছে। এ ছাড়া শৌচাগারের ব্যবস্থাও নেই। খোলা আকাশের নিচে, ঝোপঝাড় বা পাহাড়ি জঙ্গলে তাদের প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে।