আজ শুভ বিজয়া দশমী ।সারাদেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে আজ (শনি বার) এবারের মতো সমাপ্তি ঘটবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতার।
শাস্ত্রে আছে, নবমী তিথিতে রাবণবধের পর শ্রীরামচন্দ্র এই পূজা করেছিলেন। নীলকণ্ঠ ফুল, যজ্ঞের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় নবমী বিহিত পূজা। নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদলাভ হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী, শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে শুক্রবার দশভুজা দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা শুরুর পর ভক্তরা প্রার্থনা করতে থাকেন দেবীর উদ্দেশে। নীল অপরাজিতা ফুল নবমী পূজার বিশেষ অনুষঙ্গ। নবমী পূজায় যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহূতি দেয়া হয়। ১০৮টি বেলপাতা, আমকাঠ, ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়। শুক্রবার সরেজমিন রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শেষবারের মতো দেবীর আশীর্বাদ কামনায় নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোর সব বয়সের ভক্ত নিবিষ্ট মনে প্রার্থনা করেন। বিদায় বেলায়ও চলেছে ঢাক আর শঙ্খধ্বনি, টানা মন্ত্র পাঠ, উলুধ্বনি, অঞ্জলি, ঢাকের বাজনার সঙ্গে ধুনচি নৃত্য। সন্ধ্যায় মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ সকাল সাড়ে ৭টায় দশমী পূজা আরম্ভ হবে রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনে। ৯টা ৫১ মিনিটের মধ্যে পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন করা হবে। সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জন এবং শান্তিজল গ্রহণ।
সারা দেশে এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৭। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৩৯৫। গতবারের চেয়ে এবার ৬৮২টি বেশি মণ্ডপ হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় এবার পূজা হচ্ছে ২৩১টি মণ্ডপে, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২২৯। এবার সবচেয়ে বেশি পূজামণ্ডপ হয়েছে চট্টগ্রামে। সেখানে এক হাজার ৭৬৭টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। এর পরে দিনাজপুরে এক হাজার ২৪২টি এবং গোপালগঞ্জে এক হাজার ১৭৫টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিশ্চিত করেছেন।