ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে সাভার ও আশুলিয়ায় আজ বুধবার আবার রাস্তায় নেমেছেন পোশাক শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সাভারের গেণ্ডা এলাকায় নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এখানে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
এক সপ্তাহ ধরে ন্যূনতম মজুরির দাবিতে রাজধানীর উত্তরা, সাভার ও আশুলিয়ার এবং গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছিল। গতকাল মঙ্গলবার মজুরি নিয়ে অসন্তোষ-বিক্ষোভের মধ্যে সুমন মিয়া নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভরত শ্রমিকেরা গতকাল দাবি করেন, পুলিশের গুলিতে তিনি মারা গেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল নতুন মজুরি কাঠামো নিয়ে পোশাকশ্রমিকদের ১২ সদস্যের একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল রাজধানীর দৈনিক বাংলা এলাকার শ্রম ভবনে সরকার, মালিক ও শ্রমিকের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটি হয়। বৈঠকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলা হয়। তবে এর মধ্যে আজ আবার নতুন করে শ্রমিক বিক্ষোভ দেখা দিল।
সকালে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে সাভারের হেমায়েতপুরে ডার্ড গ্রুপ ও স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকালে উড়াইলে আল মুসলিম গ্রুপের কারখানা থেকে বেরিয়ে আসে শ্রমিকেরা। তখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বেলা ১১টা দিকে সাভারের গেণ্ড এলাকায় আবার বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ চলছে।
আজ মিরপুরের কালশীতে ২২ তলা স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা গতকালের মতো আজও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। বিক্ষোভের কারণে উত্তরায় যাওয়া যানবাহনগুলো বিকল্প পথ ব্যবহার করছে।
আজ অন্য দিনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত শান্ত ছিল রাজধানীর উত্তরা। তবে ৪ নম্বরের সেক্টরের কসাইবাড়ি মোড়ে সাড়ে ১০টার দিকে পোশাক শ্রমিকেরা রাস্তায় নামার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বাধা পেয়ে শ্রমিকেরা সেখান থেকে চলে যায়।