Home ক্রিকেট স্পিন কোচের দায়িত্বটা ভালোই সামলান হাথুরু

স্পিন কোচের দায়িত্বটা ভালোই সামলান হাথুরু

2114
0
SHARE
কদিন আগে বিসিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্তা রসিকতা করে বলছিলেন, ‘আমাদের জাতীয় দলটা যেন ধনীর সন্তান, যার প্রতিটি বিষয়ে একজন করে “গৃহশিক্ষক” লাগে!’ তিনি খুব ভুল বলেননি। প্রতিটি বিভাগের জন্যই এখন একজন করে কোচ আছেন বাংলাদেশ দলে।
বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের তালিকাতেও দারুণ সব নাম। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ তো ক্রিকেটের এক জীবন্ত কিংবদন্তিই। ট্রেনার হিসেবে আছেন মারিও ভিল্লাভারায়ন, সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসেলের সঙ্গে আছেন নতুন ব্যাটিং পরামর্শক মার্ক ও’নিল, ফিজিও হিসেবে আনা হচ্ছে চন্দ্রমোহন নামের একজনকে। তবে স্পিন কোচের জায়গাটা অনেক দিন ধরে শূন্য। সেটি পূরণে স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের নাম বেশ জোরেশোরেই শোনা গেলেও এখনো তা নিশ্চিত নয়।
স্পিন কোচের কাজটা খুব ভালোমতোই করছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর বোলিং কোচ ওয়ালশ। এটি যে তাঁরা উপভোগ করছেন সেটি বোঝা যায় হাথুরুর কথাতেই, ‘দীর্ঘ দিন ক্রিকেট খেললে এর খুঁটিনাটি তো আপনি জেনে যাবেনই।’
স্পিন বোলিংটা যে ভালো বোঝেন, সেটাও নিজের প্রথম শ্রেণির উইকেট সংখ্যা দিয়েই বোঝাতে চাইলেন, ‘আপনার জানেন কি না জানি না, আমি প্রথম শ্রেণিতে ১২৬ উইকেট পেয়েছি। স্পিন বোলিং করতাম। এটা নিয়ে কিছু তো জানিই (হাসি)। কোর্টনির আছে এক হাজার উইকেট। সেও অনেক কিছুই জানে। এটা বিশেষজ্ঞের কাজ। আমি রঙ্গনার (হেরাথ) সঙ্গে কাজ করেছি। সে তো বিশ্বের অন্যতম সেরা বাঁহাতি স্পিনার। বাঁহাতিদের বিষয়টা তাই বুঝি।’
তবে দৃষ্টি যদি আরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়, হাথুরুসিংহের সামনে এই মুহূর্তে দুটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই মাসে দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুর্দান্ত কিছু করা কঠিন হলেও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করার আশা শ্রীলঙ্কা কোচের, ‘টেস্ট ক্রিকেটে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। জানি, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেললে অন্তত উপমহাদেশে জিততে পারব। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তাই জিততে চাই। নিজেদের কন্ডিশনে সত্যি আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল। তবে চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে আমরা খুব অল্প সময় পাব। সেখানকার কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়ও আছে। তবে দ্রুত মানসিক ও শারীরিকভাবে তৈরি হওয়ার পরিকল্পনা আমাদের আছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশ অবশ্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আরও আগে থেকেই। ১০ জুলাই থেকে ২৯ জনকে নিয়ে শুরু হয়েছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর এখন ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে কাজ করছেন খেলোয়াড়েরা। অনুশীলন বাড়িয়ে দিতে আগামী শুক্রবার চট্টগ্রামে চলে যাচ্ছেন মাশরাফি-তামিমরা। সেখানে অনুশীলনের সঙ্গে নিজেদের মধ্যে একটি তিন দিনের ম্যাচ খেলার কথা তাঁদের।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের সবাই থাকবেন না। তবুও কেন এত খেলোয়াড়কে ডাকা, সেটির একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য ২০১৯ বিশ্বকাপ। অন্তত আমার জন্য। আমার চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী (২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত) আমাকে এটিই ভাবতে হচ্ছে। আমরা সামনে যে পরিমাণ ম্যাচ খেলব, তাতে আমাদের অনেক খেলোয়াড় দরকার। তাদের এখন থেকে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটি আছে। আমরা জানি ঘরোয়া ক্রিকেটে এই সুযোগটা নেই।’

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.