গত ১৭ আগস্ট টাঙ্গাইলে সিরিজ বোমা হামলার দায়ে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১৪ সদস্যকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড এবং একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ২ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিঞা এ রায় দেন।
আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম খান। পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন শামীম চৌধুরী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। টাঙ্গাইল শহরের বেবিস্ট্যান্ড, শহীদ জগলু রোড ও আদালত এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই দিনই টাঙ্গাইল সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পরে তদন্তে দণ্ডিত ব্যক্তিদের নাম বের হয়ে আসে।
রায়ের সময় আদালতে ১০ আসামি উপস্থিত ছিলেন। মামলার মোট আসামি ১৭ জনের মধ্যে শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের ফাঁসি হয় ২০০৭ সালে।হাবিল নামের অপর এক আসামি কারাগারে মারা যান। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার টেকপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মাদারকোল গ্রামের ইয়ামিন মিয়া, মিজান, আবদুল আহাদ, হাবিল, রোস্তম, তারিকুল, কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের আরমান বিন আজাদ এবং আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে সোহেব ও রাসেল, বাসাইল উপজেলার হাবলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান, গোপালপুর উপজেলার পলসিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমান ওরফে তানভীর, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তোরাব বেফা গ্রামের শহীদুল ইসলাম এবং ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার শরিফবাগ গ্রামের আবদুল্লাহ আল তাসনিম। তাঁদের মধ্যে আরমান বিন আজাদ, রাসেল, তারিকুল ও আবদুল্লাহ আল তাসনিম পলাতক রয়েছেন।
তবে মামলার আসামি শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া এবং হাবিল নামক অপর এক আসামি কারাগারে মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।