হাথুরুসিংহের আড়াই বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে কখনও শিরোনামে এসেছেন দলে একক রাজত্বের কারণে, আবার কখনও দল নির্বাচন নিয়ে। অনেকের মতে, নিজের মতো করেই একাদশ ও দল নির্বাচন করেন তিনি। অনেক সময় তার কাছে পাত্তা পান না অধিনায়কও। সম্প্রতি বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে ফের খবরের শিরোনাম হয়েছেন হাথুরুসিংহে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আকস্মিক ব্যাটিং অর্ডার ওলট-পালট, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টেই টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া, এমনকি অধিনায়কের ফিল্ডিং পজিশন ঠিক করে দেওয়া নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছে, তাতে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের একটি দূরত্ব দৃশ্যমান হয়ে উঠছিল।
অন্য সব সিনিয়র ক্রিকেটার হাথুরুসিংহের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখলেও মুশফিক সরাসরিই জানালেন অনেক কথা, ‘সিদ্ধান্ত কী হয়েছে, এখনও বলতে পারছি না। আর সবার মতো আমিও বিস্মিত! কারণ শেষ সফরেও আমরা একসঙ্গে ছিলাম, এক সঙ্গে কাজ করেছি। জানি না কী কারণে হয়েছে। তবে সেটার দায়িত্বে বিসিবি আছে।
বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এড়িয়ে গেছেন বিষয়টি। এড়িয়ে গেছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও।
মুশফিক বললেন শেষ সফরেও ছিলাম একসঙ্গে, জানতেও পারিনি কীভাবে, কখন এটা হলো। যা-ই হবে…আল্লাহ যা করবেন ভালোর জন্যই করবেন। বিপিএলের পর হোম সিরিজ আছে। যেটাই হোক দ্রুত হলে ভালো।
টেস্ট অধিনায়ক বললেন‘এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি যদি মনে করেন কোনও সুনির্দিষ্ট ক্রিকেটার বা দলের কারও ওপর খুশি নন, তাহলে সেটা আলাদা ব্যাপার। সত্যি বলতে আমরা জানি না তিনি কেন এটা করেছেন। তিনি নিজেও কারণ জানিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি। তিনি না আসা পর্যন্ত আমাদের কাছেও ব্যাপারটি পরিষ্কার নয়।’