ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত আসিয়ানের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি।
সম্মেলনে সু চির পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক হওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানো হবে।
সম্মেলনে যখন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা জানতে চাওয়া হয় তখন মিয়ানমার জানায় কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের মানবিক সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হ্যারি রোক জুনিয়র এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত ব্রিফ করেন। আসিয়ান সম্মেলনে রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি প্রসঙ্গটি ওঠার পর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিয়ানমার আনান কমিশনের প্রস্তাব মেনে চলছে। হ্যারি রোক জুনিয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানবিক সহায়তাকে অভিনন্দন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের তিন সপ্তাহের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের (রোহিঙ্গাদের) প্রত্যাবাসন করা হবে।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করে মিয়ানমার গত ২৪ অক্টোবর। সু চি স্পষ্ট করেননি ঠিক কবে থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে তা বলে জানা যায়।
প্রশ্নের মুখে মিয়ানমার সরকারের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন সংকট সমাধানে সু চি। আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন এবং মানবিক সহায়তার বিষয়টিকে স্বাগত জানায় তার সরকার সু চি দাবি করেন । তবে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি তিনি গোটা আলোচনায়।